হোটেল ভাড়ায় সর্বোচ্চ ৬০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় দিয়েও ঈদুল আজহায় পর্যটক টানতে পারেনি কক্সবাজার। পবিত্র ঈদুল আজহার ছুটিতে পাঁচ লাখ পর্যটক বিশ্বের দীর্ঘতম এই সমুদ্রসৈকতে ভ্রমণে আসবেন বলে আশা করেছিলেন ব্যবসায়ীরা।
হোটেল মালিক সমিতির তথ্য অনুযায়ী, ঈদের দ্বিতীয় দিন অর্থাৎ আগামীকাল সোমবার (১১ জুলাই) কক্সবাজারে ভ্রমণে আসবেন মাত্র সাত হাজার পর্যটক। তৃতীয় দিন ও চতুর্থ দিন আসবেন প্রায় ৬৩ হাজার পর্যটক। এর পরদিন থেকে পর্যটকেরা চলে যাওয়া শুরু করবেন। হোটেল মালিকেরা জানান, গত ঈদুল ফিতরের ১০ দিনের ছুটিতে সৈকত ভ্রমণে এসেছিলেন ১১ লাখের বেশি পর্যটক। তখন পর্যটনসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোতে ৭০০ কোটি টাকারও বেশি ব্যবসা হয়েছিল। শুধু কক্সবাজার নয়, তিন পার্বত্য জেলা বান্দরবান, রাঙামাটি এবং খাগড়াছড়িতেও এবারের ঈদে পর্যটকদের সমাগম নেই।
এর পেছনে বেশ কয়েকটি বিষয়কে দায়ী করছেন সংশ্লিষ্টরা। প্রথমত সিলেটসহ ২০ জেলার ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি। দ্বিতীয়ত ঈদের পরপরই এসএসসি পরীক্ষা শুরু হওয়া। তৃতীয়ত পদ্মা সেতু চালুর পর পর্যটকের নজর এখন সুন্দরবন, কুয়াকাটা ও খুলনা অঞ্চল। স্বপ্নের পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় দক্ষিণাঞ্চল ভ্রমণের সময় কমে এসেছে বিধায় মানুষ আগ্রহী হচ্ছে ওই অঞ্চল ভ্রমণে। এছাড়া করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি ও বাজারে নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় অনেকেই ভ্রমণ থেকে বিরত থাকছেন।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।